প্রকাশিত: Sat, Jun 1, 2024 11:34 AM
আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 2:09 AM

[১]সিলেট শহরে ঢুকছে পানি, আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষ

আশরাফ চৌধুরী রাজু: [২] শুক্রবার সকাল থেকে সুুরমা নদীর পানি ডুকতে শুরু করে নগরীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত উপশহর সি-ব্লক, ডি-ব্লক ও ই-ব্লক একাংশ, যতরপুর, তোপখানা, মাছিমপুর, সোবহানীঘাট, তালতলা ও শেখঘাট ও কাজিরবাজার এলাকায়।

[৩] এরমধ্যে বৃহস্পতিবার রাতেই পানি ঢুকে তালতলাস্থ সিলেট ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ে। ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘বন্যার পানি ওঠার কারণে এ স্টেশন থেকে মেশিনারিজ ২৭ নং ওয়ার্ডের আলমপুর স্টেশনে নিয়ে রাখা হয়েছে।

[৪] বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই সুরমা নদীর তীরবর্তী এলাকা উপশহর, যতরপুর, তোপখানা, মাছিমপুর ও সোবহানীঘাট এলাকার সড়ক ও বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও দোকানপাট, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদে পানি প্রবেশ করে। এতে বিপাকে পড়েন নগরের বাসিন্দারা। অনেকেই আত্মীয়-স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন।

[৫] এদিকে নগরীর ১৫ নং ওয়ার্ডের কিশোরী মোহন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উঠেছে কয়েকটি পরিবার। একই ওয়ার্ডের মতিন মিয়ার কলোনীর ৪০টি পরিবার, পাশ্ববর্তী ২৯নং বাসায়ও আশ্রয় নিয়েছেন কেউ কেউ।

[৬] সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোতে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে পরিবার নিয়ে উঠতে শুরু করেছেন।

[৭] পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, বেশ কয়েকটি উপজেলায় বন্যার পানি কিছুটা কমেছে। সিলেটের নদ নদীগুলির তিনটি পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক দুর্গত এলাকাগুলোর খোঁজখবর নিচ্ছি। ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২শ মি.মি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের দিন যা ছিলো সাড়ে ৬শ মি.মি। ভারতে বৃষ্টির পরিমাণ কমে গেলে সপ্তাহখানেকের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

[৮] ভারী বৃষ্টি ও হঠাৎ উজান থেকে নেমে আসা ঢলে  সিলেটে গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে বিশ্বনাথ, বিয়ানীবাজারে ও গোলাপগঞ্জে। তবে এই তিনটিতে ভয়াবহতা এখনো তীব্র হয়নি। সম্পাদনা: এম খান